ফ্রিল্যান্সিং প্রথম শুরু হয়েছিলো ১৯৯৮ সালের দিকে। অনলাইনে একটা মার্কেটপ্লেস খোলা হয়েছিলো, সেখান থেকেই বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং এর শুরু। ব্যাপারটা বেশ মজাদার। ধরাবাধা অফিস টাইম নেই, যখন ইচ্ছে কাজ করলেই হলো! এই কাজ হতে পারে বিভিন্ন রকম। ওয়েব ডিজাইনিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল লেখা বা ডাটা এন্ট্রি হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়।
এখানে দুই পক্ষ থাকেন। ক্লায়েন্ট আর ফ্রিল্যান্সার। ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে বিভিন্ন কাজ দিয়ে থাকেন, আর একটা নির্দিষ্ট সময়ের (যেটি ফ্রিল্যান্সারের ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করা হয়) মধ্যে কাজ শেষ করে ক্লায়েন্টকে পাঠিয়ে দিতে হয়। ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরুর আগেই চুক্তি করা হয় পারিশ্রমিক নিয়ে। কাজ হয়ে গেলে, ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়। ব্যাস, হয়ে গেল একটি সফল ফ্রিল্যান্সিং!
এই জন্যে আমরা সবাই ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝি মুক্তপেশা |
কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্যে আপনার ৩ টা জিনিস প্রয়োজন। এক নাম্বার হল একটা কম্পিউটার দুই নাম্বার হল একটি ইন্টারনেট কানেকশন এবং তিন নাম্বার হল এমন একটা স্কিল যেটা কারো কোন সমস্যার সমাধান করে। এখন কথা হচ্ছে সমস্যা সমাধান বলতে আমি ঠিক কি বুঝাচ্ছি, ধরুন আপনি খুব ভালো আঁকতে পারেন।আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলেন এখন এই পুরো দুনিয়ায় এমন কেউ তো অবশ্যই আছে যার কোন কিছু ডিজাইন করা প্রয়োজন। সে হয়ত তার বিজনেস কার্ড নেই বলে নানা সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছে।আপনি এখন শুধু তাকে একটা বিজনেস কার্ড বানিয়ে দিয়ে তার সমস্যার সমাধান করে দিবেন । ব্যাস হয়ে গেল আপনার কাজ এবং সেই সাথে শুরু হয়ে গেল আপনার ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং কী? কিভাবে শুরু করে তা নয় বুঝলাম কিন্তু আমি শিখব টা কী?
অনলাইনে অনেক কাজ রয়েছে আপনাকে শুধু আপনার পছন্দের কাজটি খুঁজে বের করতে হবে এবং তাতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তুলনামূলক সহজ কাজগুলোর মধ্যে আছে ডাটা এন্ট্রি বা আর্টিকেল লেখা,গ্রাফিক্স ডিজাইন,লেখা ইডিটিং এর মতো কাজ। বলাই বাহুল্য, এমন কাজের জন্যে প্রচুর বিড আসে, তাই এমন কাজ পেতে হলে একজন ফ্রিল্যান্সারকে বেশ বড় রকমের একটা প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়।
তুলনামূলক কঠিন কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং- এমন সব কাজ। সঙ্গত কারণেই এমন কাজে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া যায়, প্রতিযোগিতাও কিছুটা কম। কিন্তু এসব কাজ নিখুঁতভাবে করতে হলে এক্সপার্ট হতে হবে। নইলে ক্লায়েন্টের হাসিমুখ দেখার সৌভাগ্য আপনার হবে না।
কাজের অভিজ্ঞতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি হলে আয় ও বেশি হয়। এছাড়া অনেক ফ্রিল্যান্সার সময়ের সাথে সাথে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেন এবং নিজের কাজের বিস্তার ঘটান।
মার্কেটপ্লেস কী ?
এতক্ষণে অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগছে, ‘”সবই বুঝলাম, কিন্তু এই ক্লায়েন্ট-ফ্রিল্যান্সার লেনদেনের ব্যাপারটা হবে কোথায়?” এই ‘ব্যাপারটা’ হবে মার্কেটপ্লেসে। না, এটি কিন্তু কাঁচাবাজার কিংবা পাইকারি বাজার নয়। এটি সম্পূর্ণ অনলাইন নির্ভর একটি মার্কেট যার মাধ্যমে ক্লায়েন্টরা খুঁজে পান ফ্রিল্যান্সারদের। মার্কেটপ্লেসে পুরো ব্যাপারটা ঘটে সুসংগঠিত একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
প্রথমে ক্লায়েন্ট বা ক্লায়েন্টরা মার্কেটপ্লেসে আসেন। সেখানে তারা ফ্রিল্যান্সারদের করা বিভিন্ন বিড পর্যালোচনা করে দেখেন। একজন ফ্রিল্যান্সার তার করা বিডে বলে দেয় যে সে কাজটি কত সময়ের মধ্যে করে দিতে পারবে আর কতো পারিশ্রমিক লাগবে। ক্লায়েন্ট তারপর সব বিড থেকে যেটিকে সবচেয়ে যোগ্য মনে করবেন, সেটিই গ্রহণ করবেন। তারপর ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করে ক্লায়েন্ট কাজের ব্যাপারে সবকিছু সম্পন্ন করেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ পরিশোধ করে দেয়া হয়।আপনার আয় করা অর্থ থেকে মার্কেটপ্লেস কিছু অর্থ কেটে রেখে বাকি টা আপনার একাউন্টে জমা করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উল্লেখ যোগ্য মার্কেটপ্লেস গুলো হল ঃ Upwork ,Fiverr, PeoplePerHour, Freelancer.com.
মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ শুরু করতে হয় ?
মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার জন্যে প্রথমেই মার্কেটপ্লেসে আপনার একটি চমৎকার প্রোফাইল থাকতে হবে। মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরী করা খুবই সহজ। আপনার প্রোফাইল
টিকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে আপনি যখন বিড করবেন, তখন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে আকৃষ্ট হয়। সেজন্যে প্রোফাইল হতে হবে চমৎকার, যাতে ক্লায়েন্ট দেখেই আগ্রহ প্রকাশ করে কাজ দেয়। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ঘুরে, সেখানে ক্লায়েন্টদের চাহিদা বুঝে প্রোফাইল তৈরি করা উচিৎ।
দারুণ একটা প্রোফাইল বানাতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমনঃ
১। যেকোন একটা বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং কোচিং সেন্টার আছে, সেখান থেকে এ বিষয়ে শেখা যায়। তাছাড়া নিজে নিজে হাতে কলমে চেষ্টা করাটা খুবই দরকারি। ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেও অভিজ্ঞ হবার পথে এগিয়ে যাওয়া যায়।
২। আপনি যে বিষয়ে এক্সপার্ট হয়েছেন, সে বিষয়টি নিয়ে দুই একটা কাজ করে রাখতে হবে। যেমন, আপনি যদি লেখালেখিতে ভালো হন, তাহলে আপনার লেখা কোন একটা আর্টিকেল প্রোফাইলে যোগ করে দিতে হবে।
৩। Upwork, Freelancer.com এর মতো জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল মেজারমেন্ট নামে একটা পরীক্ষা দেয়া যায়। এগুলোতে অংশগ্রহণ করলে সেটি প্রোফাইলের জন্যে মন্দ হবে না কিন্ত!
৪। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আপনার প্রোফাইল আর নৈপুন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ আর ফোরামে শেয়ার করতে পারেন। এতে প্রোফাইলের পরিচিতি বাড়বে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
৫।নিজের পারসোনাল ব্র্যান্ডিং এর জন্যে নিজের নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা যেতে পারে।
ক্লাইন্ট পাওয়ার ওপেন সিক্রেটঃ
ক্লায়েন্ট পাবার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কারো একটা রেফারেন্সে কাজ পাওয়া। চমৎকার একটা প্রোফাইল প্রস্তুত করে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে থাকতে হবে প্রথম কাজ পাওয়া পর্যন্ত। এখানেই ধৈর্য্যের আসল পরীক্ষা শুরু। অনেক অপেক্ষার পর একটা কাজ হাতে পেলে সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিখুতভাবে শেষ করতে হবে। এতে ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে হয়তো পরের কাজটিও আপনাকে দিয়ে দেবে, কিংবা অন্যের কাছে রেফারেন্স করবে আপনার নাম। এভাবেই ফ্রিল্যান্স জগতে আপনি হতে পারবেন পরিচিত মুখ।কিছুদিন এভাবে চলতে থাকলে আপনার আর কাজের অভাব হবে নাহ।তখন প্রতিনিয়তই কাজ আস্তে থাকবে।
কিভাবে পারিশ্রমিক পাবেনঃ
অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করার পর সঠিক জ্ঞান না থাকলে নানা কারণে প্রতারিত হয়ে অর্থ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। ইন্টারনেট কিন্তু খুব নিরাপদ কোন জায়গা নয়। তাই সঠিক পদ্ধতি না জানলে খুব সহজেই আপনি বোকা বনে যেতে পারেন। আপনার পরিশ্রম হয়ে যেতে পারে স্রেফ বেগার খাটা। সেজন্যে পারিশ্রমিক পাবার উপায়গুলো পরিষ্কার করে জানা দরকার।
আপনার উপার্জিত অর্থ বুঝে নেবার জন্যে ব্যাংক অবশ্যই একটি নিরাপদ মাধ্যম। কিছু মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যায়। কিন্তু যেসব মার্কেটপ্লেসে এ ব্যবস্থা নেই, সেখানে অনলাইন পেমেন্ট ট্রানজাকশন প্রসেসে পারিশ্রমিক বুঝে নেয়া যায়। কিন্তু এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া আর সব কাজ শেষ করতে মাস দেড়েক লেগে যায়।
নিয়মিত ক্লায়েন্টরা সাধারণত এসব ঝামেলায় যান না। তারা ফ্রিল্যান্সারদের কাজ দেন ই-মেইল বা অন্য উপায়ে, আর পারিশ্রমিকও সরাসরি ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু এমন নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেতে হলে প্রচুর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
Payoneer Prepaid Master Card নামের এক ধরণের ডেবিট কার্ড আছে। এই কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি মার্কেটপ্লেস থেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ তোলা যায়। এই কার্ডটি ব্যবহার করে অনলাইন শপিংও করা সম্ভব।
তো বুঝেই গেলেন কিভাবে নিজের পারিশ্রমিক ঘরে নিয়ে আসবেন।
আপনি কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবেন ?
ফ্রিল্যান্সিং কী,কিভাবে করে,মার্কেটপ্লেস সব বুঝার পড়ে অনেকেই নিজেদের পছন্দের কাজ বের করে ফেলেন কিন্তু সমস্যা তখনই হয় যখন তিনি এটা একা একা শিখতে পারেন নাহ এবং কোন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানের কাছে যান।বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ভূয়া ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মানুষ এদের কাছে গিয়ে প্রতারিত হয় এবং ফ্রিল্যান্সার হওয়ার স্বপ্নের ইতি টানেন। আপনাদের আমি এখন বলব যখন আপনি কোন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানে যাবেন তাদের কি কি বিষয়ে আপনি লক্ষ্য রাখবেন কিভাবে বুঝবেন এরা প্রতারক নাহ ।
- প্রথমেও যে জিনিসটি দেখবেন তাদের যারা আগের ষ্টুডেন্ট ছিল তারা এখন কে কি করছে ।মার্কেটপ্লেসে কয় জন সাকসেস পেয়েছে ।কয় জন লোকাল মার্কেটে কাজ করছে তাদের অবস্থা কেমন।
- দুই নাম্বার যে জিনিসটা দেখবেন সেটা হল ট্রেইনার কারা ।ট্রেইনারদের সাকসেস বা এচিভমেন্ট গুলো কী কী ।কত দিন থেকে তারা কাজ করছেন তাদের অবস্থান বর্তমানে কোথায়। এই জিনিসটি খুব ভালো ভাবে দেখতে হবে।
- তিন নাম্বার হল তাদের প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ এবং সুনাম। ষ্টুডেন্টরা সেই ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানকে রেফার করছেন কি না এটাও দেখতে হবে।এই ৩ টা বিষয় মাথায় রাখলে ভালো ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেতে অনেক সুবিধা হবে ৷
ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাধা এবং এর ভবিষ্যৎঃ
ফ্রিল্যান্সিং যেমন প্রচুর সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে, তেমনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এর কোন বাধাধরা সময় নেই, যেকোন সময় কাজ আসতে পারে, আবার নাও আসতে পারে। তাই এমনও হতে পারে যে, কোন মাসে বিশাল অংকের পারিশ্রমিক পেলেও, পরের মাসেই সে পারিশ্রমিকের পরিমাণ একেবারে কমে গেল। অনেকসময় ক্লায়েন্ট পারিশ্রমিক দিতে দেরি করে, নানা সমস্যা করে। আবার, আউটসোর্সিং ব্যাপারটা আমাদের দেশে স্বীকৃত না পেশা হিসেবে। তবে আশার কথা হলো, এখন দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু হলেও পাল্টাচ্ছে।
বাঙ্গালি ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত ডাটা এন্ট্রি, লেখালেখি, ওয়েব ডিজাইনিং, মাল্টিমিডিয়া আর কন্টেন্ট বানানোর কাজ করে থাকেন। এগুলো অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার, কিন্তু সবচেয়ে লাভজনক কাজ হলো ওয়েব ডেভেলপিং আর সফটওয়্যার ডেভেলপিং। এই জায়গাটাতে বাংলাদেশ এখনো একটু হলেও পিছিয়ে আছে। এজন্যে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে হবে, কারণ:
বাঙ্গালির অনেক দুর্নাম। তারা আলসে, কর্পোরেট দুনিয়ার পাংকচুয়াল লোকেদের সাথে তাল মেলাতে তারা বিষম খায়, নিয়মের বেড়াজালে তারা হাঁসফাঁস করে। কিন্তু মেধার দিক থেকে তাদের কমতি কখনোই ছিলো না। আর এজন্যেই ফ্রিল্যান্সিং আলসে বাঙ্গালিদের এনে দিয়েছে দারুণ এক সুযোগ- নিয়মের মাঝে বাধা না পড়ে, নিজের মেধাকে নিজের মতো করে কাজে লাগিয়ে অর্থোপার্জন করা।
দরকার নেই বাধাধরা নটা-পাচটা চাকুরি, দরকার নেই কর্পোরেট রোবট হবার! নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিং করেই কিন্তু সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ পাওয়া সম্ভব! বাঙ্গালী করবে বিশ্বজয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বললে আগে বলতে হবে এর বাজার কতটা বড়।আপনি জেনে অবাক হবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের মার্কেট সাইজ প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দিন দিন এটা বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশেও ৫-৬ লাখ তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে জড়িত। এখন কোম্পানি গুলো পার্মানেন্ট লোক হায়ার না করে ফ্রিল্যান্সারদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে দিচ্ছে এতে কোম্পানি গুলো লাভবান হচ্ছে।কোভিড-১৯ এর পর এই বিষয়টা আরো বিস্তার লাভ করবে।কোম্পানি গুলো ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিবে এবং বাজারে ফিল্যান্সারদের চাহিদা বাড়বে।
ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা:
বাংলাদেশে এমন অনেক তরুণ রয়েছেন যারা শুধু মার্কেটপ্লসে কাজ করেই থেমে থাকেনি তারা নিজেদের একটা ব্যবসাও দাঁড় করিয়ে ফেলেছে এবং কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও করেছে। তারা এটা কিভাবে করেছে সেটাই বলব এখন। একজন ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে অনেক দিন কাজ করার পর তার কিছু ফিক্সড ক্লাইন্ট হয়ে যায় এবং তখন সে রেগুলার তাদের কাজ করতে থাকে ।তাকে তখন নতুন করে আর কাজ খুঁজতে হয় না।এখন একজন ফ্রিল্যান্সার যার অনেক গুলো ফিক্সড ক্লাইন্ট আছে সে চাইলে তার সেই কাজ গুলো অন্য কাউকে হায়ার করে করাতে পারে এবং সেই কাজের পারিশ্রমিক সেখান থেকে একটা অংশ সে যাকে হায়ার করেছে তাকে দিতে পারে।সে যেহেতু এখন কাজ অন্যকাউকে দিয়ে করাচ্ছে তাই এখন তার অনেক সময় এবং এই সময়টাতেই সে তার অভিজ্ঞতা এবং কাজের রেফারেন্স দিয়ে আরো নতুন নতুন ক্লাইন্টকে নিয়ে আসবে তার কাছে।এভাবেই ৬ মাস ১ বছর চলতে থাকলে একটা ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে।
ব্যাস আর কি ? ফ্রিল্যান্সিং কী জানা হল কীভাবে শুরু করবেন সেটাও বললাম,মার্কেটপ্লেস এবং ক্লাইন্ট পাবার গোপন রহস্য জানলেন,আপনি কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবেন সেটাও বলে দিতাম এবার শুধু আপনার কাজ শুরু করার পালা এবং সাফল্যকে আলিঙ্গন করার জন্যে অপেক্ষা করা।